বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আজকের মধ্যে মতামত দেবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দেব।’
রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে আপনার ভিন্ন মত দেওয়ার সুযোগ আছে কি না-গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা হচ্ছে আইনের অবস্থান। আমি মনে করি, সেটাই সঠিক।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছে, যেটা তিনি আগে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা ক্ষমতাবলে সাজা স্থগিত করেছেন এবং তাকে শর্তযুক্তভাবে তার মহানুভবতার কারণে মুক্তি দিয়েছিলেন। এখন এটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজেকশন। এটা ওপেন করার কোনো উপায় নেই আইনগতভাবে। সেটা তিনি পরিষ্কার বলেছেন এবং আইনের অবস্থানই সেটা।’
নির্বাহী আদেশে যেভাবে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি, প্রয়োজনে তেমনভাবে বাইরে নেওয়া হয়; নির্বাহী আদেশে তেমন সুযোগ আছে কি না প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘দেশে সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে করলে সেটা খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়।’
নির্বাহী আদেশে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে বিদেশে যেতে গেলেও আইনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই নির্বাহী আদেশ দিতে হবে। আইনের বাইরে কোনো নির্বাহী আদেশ হতে পারে না।’
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে বিদেশে চিকিৎসার আবেদন করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
এদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে নিতে যেতে হলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর যদি তাকে যেতে হয় (দেশের) বাইরে, তাহলে এখন যে আমি তাকে বাসায় থাকার অনুমতিটা দিয়েছি, এটা আমাকে তুলে নিতে হবে। তাকে (খালেদা জিয়া) আবার জেলে যেতে হবে এবং আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি রায় দেয়, তখন সে যেতে পারবে।’
অর্থসূচক/এএইচআর